জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া : আগামী ২৮ মে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৫ম ধাপে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ১২টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে চলছে জোরেসোরে প্রচার প্রচারনা। ব্যানার, পোষ্টারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। এসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য পদে ৯৩ জন ও সাধারন সদস্য পদের ৩৯১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করবে। তৎমধ্যে চেয়ারম্যান পদে চার ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী না থাকায় আওয়ামীলীগ মনোনীত চার প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকী ৮ ইউনিয়নে ২৭ চেয়ার্যান প্রার্থীর মধ্যে ৩ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় টেন্শনে আওয়ামী লীগ। তবে ৩ প্রার্থীকে সোমবার(১৬ মে) উপজেলা আওয়ামী লীগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদেরকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়। তারা হলেন সরফভাটার মুজিবুল ইসলাম সরফি, দক্ষিন রাজা নগরে এনামুল হক মিয়া ও ইসলামপুরে সিরাজুদ্দৌলাহ দুলাল। তারা তিনজনই বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের তৃণমূলের ভোটে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করে হেরে যান। এরপর তারা দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করছেন। তিনজনই আনারস প্রতীক নিয়ে মাঠে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর নৌকার বিরুদ্ধে লড়ছেন। এই তিন ইউনিয়নে বিএনপির কোন প্রার্থী নেই। তৃণমূলের ভোটে জিতে সরফভাটা ইউনিয়নে কেন্দ্রিয় যুবলীগ নেতা শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, ইসলামপুর ইউনিয়নে উপজেলা আ.লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টন, দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আহমদ ছৈয়দ তালুকদার আওয়ামীলীগের মনোনয়ন লাভ করে নৌকা প্রতিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এছাড়া হোছনাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মির্জা সেকান্দর হোসাইন (নৌকা), বিএনপির সেকান্দর আলী (ধানের শীষ), ইসলামী ফ্রন্টের মো. ইউসুফ কোম্পানী (মোমবাতি)। ইসলামপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজনীন ফৌজিয়া সুলতানা (অটোরিক্সা)। লালানগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মীর তৌহিদুল ইসলাম কাঞ্চন (নৌকা), বিএনপির মো. মিজানুর রহমান (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী এম শাহ আলম তালুকদার (আনারস) ও ঈমাম বক্স চৌধুরী (চশমা)। পারুয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের জাহেদুর রহমান তালুকদার (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মো. ইব্রাহীম (আনারস)। পোমরা ইউনিয়নে আ.লীগের চৌধুরী মোহাম্মদ কুতুব উদ্দীন হারুনী (নৌকা), বিএনপির মো. আজিজুর রহমান (ধানের শীষ) ও ইসলামী ফ্রন্টের মো. সানাউল্লাহ (মোমবাতী)। বেতাগী ইউনিয়নে আ.লীগের নূর কুতুবুল আলম (নৌকা), বিএনপির কাজী নাজিম উদ্দীন (ধানের শীষ), বিএনপির বিদ্রোহী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (ঘোড়া) ও ইসলামী ফ্রন্টের মো. ইউসুফ (মোমবাতি) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
সরফভাটা ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুজিবুল ইসলাম সরফি জানান, আওয়ামী লীগের তৃণমূলের ভোটে প্রহসনের নির্বাচনে আমাকে ইচ্ছাকৃতভাবে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় তিনি ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পন্ন করেছেন বলে জানান। জনগনের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি নির্বাচন করছেন। জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার জানান, দলীয় সিদ্বান্ত অমান্য করে যারা নির্বাচন করছেন তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদেরকে কোনোভাবে ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার আহবান জানানো হচ্ছে।